Site icon অবিশ্বাস

অভয়নগরে ‘মানবিক বিয়ের’ নামে ছাত্রীকে ধর্ষণ, মাদ্রাসা শিক্ষকের নামে ধর্ষণ মামলা

যশোরের অভয়নগরে ‘মানবিক বিয়ের’ নামে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম নামের এক মাদ্রসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার (১৯ মে) বিকেলে অভয়নগর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ী গ্রামের সিংগাড়ী কওমি মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি রফিকুল ইসলাম হতদরিদ্র পরিবারের একটি মেয়েকে ফুসলিয়ে ‘মানবিক বিয়ের’ দোহাই দিয়ে মাদ্রাসার কক্ষেই দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন।

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, একটি কাগজে বরের নামের জায়গায় রফিকুলের নাম ও কনের নামের স্থানে তার নাম লিখে স্বাক্ষর করে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী দাবি করেন রফিকুল। কাবিননামা ছাড়া এ বিয়েকে ‘মানবিক বিয়ে’ বলে ওই ছাত্রীকে বোঝান রফিকুল।

ওই ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ের বাবা বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছে। সে স্থানীয় একটি আলিম মাদ্রাসায় এবার অষ্টম শ্রেণিতে উঠেছে। করোনার কারণে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় তাকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য সিংগাড়ী কওমি মাদরাসায় দিয়েছিলাম। হুজুর আমার মেয়েকে চার মাসে অনেকবার নির্যাতন করেছে। যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি আমাকে জানায়।

শুভরাড়া ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মাহমুদুর রহমান জানান, মেয়েটি তার এলাকার। বিয়ের কোনো কাগজপত্র না থাকলেও তালাকের নামে সমঝোতার চেষ্টা করছে একটা মহল। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার দাবি করছেন এলাকাবাসী। এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল।

মেম্বার বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা অসহায় পরিবারটির পাশে এসে দাঁড়ান। তাদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা অভয়নগর থানায় উপস্থিত হয়ে মাদরাসার মুহতামিম রফিকুল ও তার এক সহযোগীকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

অভয়নগর থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।

সময় নিউজ টিভি

Exit mobile version