Site icon অবিশ্বাস

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনঃ ছয় মাসে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার ১৫৬ সাংবাদিক

নতুন ঠিকানায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র

 

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই ছয় মাসে ১৫৬ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চলতি বছরের ছয় মাসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

 

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ওই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বছরের প্রথম তিনমাসে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা তুলনামূলক কম থাকলেও পরবর্তী তিনমাসের করোনাকালীন সময়ে সাংবদিক নির্যাতন দ্বিগুণ মাত্রায় বেড়েছে।

আসকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে যথাক্রমে ১৭, ১৮ ও ১৫ (মোট ৫০) জন সাংবাদিক নির্যাতন, হয়রানির শিকার হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিন মাসে সেই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ মাত্রায় বেড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল, মে ও জুন মাসে যথাক্রমে ৩৬, ৪০ ও ৩০ (মোট ১০৬) জনে সাংবাদিক নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।

এ ছাড়া সময়ের আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় গত ছয় মাসে কমপক্ষে ৬২টি মামলা হয়েছে বলে আসকের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এই মামলাগুলোতে প্রায় ১৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম তথ্যপ্রকাশ এবং নাগরিকরা ভিন্নমত প্রকাশ কিংবা সরকারের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে সেল্ফ-সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছে বলে আসকের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যেকোনো দুর্যোগে জনগণের নিকট সঠিক তথ্য থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। আর জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার রক্ষায় করোনার এ সংকটকালীন সময়ে সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে যেভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে এবং তাদের যেভাবে হয়রানি ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য অশনিসংকেত।

কালের কণ্ঠ

Exit mobile version