শিল্পাঞ্চল আশুয়িলায় গণধর্ষণের শিকার হলেন এক নারী পোশাক শ্রমিক। গণধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার এক দিন পরেই তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ঘটনায় আব্দুর রহিম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপমান ও ক্ষোভে ওই নারী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল সকালে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার মাহফুজা আক্তার নাজমা (১৮) পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কালাইছাড়া উত্তরপাড়া এলাকার আবু হানিফের মেয়ে এবং সে আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ণ ১ নম্বর গেট এলাকার রবিউল সরদারের বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় ইয়ার্গি বাংলাদেশ পোশাক কারখানায় সুইং অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন।
ঘটনায় আটককৃত আব্দুর রহিম (২৩) একই জেলা উপজেলার পিকুলিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং সে বাগবাড়ী এলাকার রাজ্জাকের বাড়িতে ভাড়া থেকে একই পোশাক কারখানার আয়রনম্যান হিসেবে চাকরি করত।
নিহতের স্বজনরা জানান, ৫ জানুয়ারি কারখানা ছুটির পর সন্ধ্যা ৭টায় নাজমা তার কথিত প্রেমিক আব্দুর রহিমের সাথে বাসায় ফিরছিল। পথে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই ব্যক্তি তাদের একটি বাউন্ডারি করা জমির ভেতর ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে থাকা ইয়ার্গি বাংলাদেশ পোশাক কারখানার লাইন চিফ রিপন এবং ক্যান্টিনের মালিক শিপনসহ অজ্ঞাত আরো দুইজন তাকে ধর্ষণ করে।
পরে রাত ১২টায় নাজমাকে রিপন ও শিপন দু’জনেই বাসার সামনে রেখে চলে যায়। ঘটনার পরের দিন মাহফুজা আক্তার নাজমা আশুলিয়া থানায় রিপন ও শিপনসহ অজ্ঞাত তাদের দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
গতকাল সকালে নাজমা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বজনরা তাকে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান নাজমার বাবা আবু হানিফ।
এদিকে গতকাল আশুলিয়ার গণকবাড়ী এলাকার বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষমাণ মোহনা পরিবহনের একটি বাসের ভেতর থেকে মোসাম্মৎ দুখুনী বেগম (২৮) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই নারী বগুড়ার শেরপুর উপজেলাধীন উত্তর শাহপাড়া এলাকার মো: হোসেনের স্ত্রী। নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্নহ্ন রয়েছে।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: জাবেদ মাসুদ বলেন, দুজনের লাশ ময়নাতদন্তেরর জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: bdnews