Site icon অবিশ্বাস

আড়াইহাজারে শিশুকে ‘ধর্ষণ’ ও হত্যা, আটক ৩

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পাঁচ বছরের এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে, যাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পুরিন্দা বড়বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয়রা তিন জনকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে আড়াইহাজার থানার এসআই কাজী সালেহ আহমদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে খেলা করার সময় শিশুটি নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে তার বাবা প্রতিবেশী নান্নু মিয়ার বাড়ি যান।

“সেখানে নান্নু মিয়ার ছেলে মোহাইমেন ও অনু মিয়াকে নিয়ে ভাড়াটিয়া সামাদের ঘরে খুঁজতে থাকেন। ওই ঘরের বারান্দা চৌকির উপর ছেঁড়া কাঁথা দিয়ে ঢাকা লিজার মৃত দেহ দেখতে পান।”

নিহত শিশুর শরীর খোলা, গলায় গামছা বাঁধা, পা দুটো বেল্ট দিয়ে বাঁধা এবং নিম্নাঙ্গ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল।

এসআই সালেহ বলেন, এ সময় তার বাবার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আশ্রাব আলীর ছেলে ভাড়াটিয়া সামাদ (৩৫), উপজেলার আসোয়াট এলাকার আনোয়ার হোসেন আনুর ছেলে সোহেল (৩৫) ও নরসিংদীর মাধবদীর ভগিরতপুরের নাসির উদ্দিনের ছেলে শিমুলকে (৩২) আটক করে গণপিটুনী দেয়।

পরে খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে এবং আটকদের থানায় নিয়ে আসে বলে জানান এসআই সালেহ।

বাড়ির মালিকের ছেলে মোহাইমেন জানান, তাদের এ ঘরটিতে সামাদ ও শিমুল ভাড়া নিয়ে থাকেন।

নিহত শিশুর বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর শ্বাসসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তিনি তার মেয়ের হত্যার বিচার দাবি করেন।

এসআই কাজী সালেহ আহমদ জানান, নিহতের পরিবার থেকে মৌখিকভাবে ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে পিবিআই টিম এলে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তবে মেডিকেল পরীক্ষার পর ধর্ষণ ও হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আড়াইহাজার থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, ওই শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে। পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Exit mobile version