পিরোজপুরের ইন্দুরাকানীতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে আটকে রেখে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (১৮ জুলাই) রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে উপজেলার একটি মসজিদের ইমাম আল-হাফিজ ওরফে হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, অভিযুক্ত ইমামকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
অভিযুক্ত ইমাম হাফিজুল ইসলাম জেলার কাউখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাঙ্গুলি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। ইমাম ওই ছাত্রীকে আরবি পড়াতেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী তার খালার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে হাফিজুল তাকে ‘কথা আছে’ বলে মসজিদ সংলগ্ন তার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তিনি ওই স্কুলছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী চিৎকার করতে চাইলে সেখানে থাকা গরু জবাই করার চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন হাফিজুল। পরে ওই কক্ষে তালা দিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে তিনি আটকে রাখেন। ওই রাতে স্কুলছাত্রীর স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই ইমামের ঘরে তালাবদ্ধ ও অচেতন অবস্থায় তার স্বজনরা উদ্ধার করেন।
রাতে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে গেলে তিনি অভিযুক্ত হাফিজুলকে ১০০ জুতাপেটা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম সরোয়ার বাবুলের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই হুজুরের শারীরিক শাস্তি দেওয়াসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।