Site icon অবিশ্বাস

কিশোরগঞ্জে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

কিশোরগঞ্জে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন চাঁদপুরের এক গৃহবধূ (২০)। এ ঘটনায় পুলিশ রাকিব (২০) ও রুবেল (২৪) নামে দুই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

২৩ আগস্ট সোমবার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল নামাপাড়া জামতলা মোড়ে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার গৃহবধূর মামা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় গ্রেফতার রাকিব ও রুবেলসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার অপর দুই আসামি হলো— রিয়াদ (২৫) ও সানি (৪০)।

আসামিদের মধ্যে রাকিব ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের মো. হাসমত আলীর ছেলে, রুবেল কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল মুরাদ পেট্রলপাম্প এলাকার রমজান মিয়ার ছেলে, রিয়াদ কিশোরগঞ্জ সদরের গাইটাল নামপাড়া এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে এবং সানি সদর উপজেলার পুরান বৌলাই সাহেববাড়ি এলাকার মৃত জমশেদ মিয়ার ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চাঁদপুরের ওই গৃহবধূ সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ডাংরী গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

রোববার সকালে বাবার বাড়ি থেকে বের হয়ে নান্দাইল চৌরাস্তায় গিয়ে পরিচিত এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় তিনি ওই অটোরিকশা দিয়ে সারাদিন ঘোরাফেরা করেন।

পরে সন্ধ্যায় অন্য একটি গাড়িতে তারা কিশোরগঞ্জে ফেরেন। রাত সোয়া ১২টার দিকে নান্দাইল চৌরাস্তায় যাওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জের বড়পুল এলাকা থেকে পূর্ব পরিচিত আরেকজনের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন।

গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে গাইটাল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ওই গৃহবধূকে অটোরিকশায় বসিয়ে রেখে চালক হোটেলে নাস্তা করতে যান।

এ সময় গৃহবধূকে একা অটোরিকশায় বসে থাকতে দেখে রাকিব, রুবেল, রিয়াদ ও সানি সেখানে গিয়ে বাজে কথা বলতে থাকেন। এ সময় গৃহবধূর পরিচিত লোকজন এগিয়ে এলে তাদের মারপিট করা হয় এবং চালককে ভয় দেখিয়ে দুর্বৃত্তরা অটোরিকশায় করে গৃহবধূকে গাইটাল নামাপাড়ার জামতলা মোড়ের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রিয়াদ ও সানি গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

সেখান থেকে ওই অটোরিকশা নিয়ে চালক দ্রুত কাটাবাড়িয়া এলাকায় গিয়ে টহলরত পুলিশ সদস্যদের ঘটনাটি জানান।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, ধর্ষণের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় এবং রাকিব ও রুবেলকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

যুগান্তর

Exit mobile version