কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১১ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মো. সোহেল (২৪) এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে আটক করেছে পুলিশ। ১৮ জুন মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সোহেলকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। সে এলাহাবাদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের বলাগাজীর বাড়ির শফিকুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের শিশু স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তাকে ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে ওই শিশুর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। শিশুটিকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার থানা পুলিশ নির্যাতিত শিশুকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেন।
ভুক্তভোগী ওই শিশু জানান, সোহেল তাকে ঈদের পর থেকে নিয়মিতভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে। কারও কাছে বললে মেরে ফেলারও হুমকি দিতো সোহেল। মামলার এজাহারে জানা যায়, চলতি মাসের (৮ জুন) বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিশুকে ২০ টাকা দেওয়ার কথা বলে সোহেল তার খালি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে তার হাতে ২০ টাকা দিয়ে বলেন কারও কাছে যেন এ ঘটনা না বলে, আর বললে প্রাণে মেরে ফেলবে। এতদিন ওই শিশু প্রাণের ভয়ে কারও কাছে না বললেও মঙ্গলবার সকালে ওই শিশু তার মায়ের কাছে এ ঘটনা খুলে বললে এলাকায় জানাজানি হয়। পরে দেবিদ্বার থানায় খবর দিলে ওসি মো. জহিরুল আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযুক্ত সোহেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা জানান, ‘সোহেল আমার মেয়েকে বিভিন্ন লোভ-লালসা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করতো। মেয়ে এতদিন ভয়ে কিছু বলেনি। মঙ্গলবার সকালে আমার মেয়ে অসুস্থবোধ করলে আমি তার কারণ জিজ্ঞাসা করি। পরে আমার মেয়ে এ ধর্ষণের ঘটনা খুলে বললে আমি এলাকার মানুষের সহযোগিতায় থানায় জানাই।’