কুষ্টিয়া শহরের এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে চাহিদা মতো চাঁদা না পাওয়ায় একজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শওকত কবীর বলেন, শহরের চৌড়হাস এলাকার রিপন নামের এক পরিবহন শ্রমিক চাঁদা দাবি এবং মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগটি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
“ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো দল বা কোনো পদের লোক সে সব দেখার কোনো সুযোগ নেই পুলিশের।”
কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ মীর রেজাউল ইসলাম বাবুর (৫৫) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন চৌড়হাস ক্যানাল পাড়ার বাসিন্দা আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে রিপন বিশ্বাস (৩৫)।
এছাড়া সদর উপজেলার চৌরহাস কাঁচাবাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিলের ছেলে মীর জাকিরুল ইসলাম(৩৮), বাকেরের ছেলে রবিন (৩৫), মতিমিয়া রেলগেট এলাকার বিল্টুর (৪২) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রিপন।
থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, রিপন চৌড়হাস-কুমারখালী মাহেন্দ্র পরিবহন স্ট্যান্ডে কাজ করেন। গত ৭ বছর ধরে এ মহেন্দ্র কাউন্টার থেকে মীর রেজাউল ইসলামের বাবুর নেতৃত্বে একটি চাঁদাবাজ গ্রুপ প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়ে আসছে।
রিপনের অভিযোগ, গত শুক্রবার পরিবহন কম চলায় টাকা সংগ্রহ কম হয়। সেজন্য এক হাজার টাকার স্থলে ৮শ টাকা দিতে গেলে কাউন্সিলর বাবুর অফিস কক্ষে আটকে রেখে তার বুকে শর্টগান চেপে ধরা হয়। সেখানে উপস্থিত চাঁদাবাজদের বেধড়ক মারধরে আহত হন তিনি।
এ ঘটনায় আহত রিপন স্থানীয়দের সাহায্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন কুষ্টিয়া মডেল থানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর রেজাউল ইসলাম বাবুর মোবাইল ফোনে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, রিপন বিশ্বাস মাদক সেবী এবং মাদক বিক্রেতা। চৌড়হাস এলাকায় কোনো মাদক বিক্রেতার স্থান নেই।
মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় রিপন এভাবে খেপে গেছে বলেন তিনি।