কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার একটি মাদ্রাসার এক আবাসিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাইদুল ইসলাম (৩৮) নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে শিশুটির বাবা।
উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার। জানা গেছে, রাতে পড়া বোঝানোর নাম করে ওই শিক্ষার্থীকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে আসেন সাইদুল। এক পর্যায়ে নিজের বিছানায় টেনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে মাদ্রাসার ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
২৭ নভেম্বর বুধবার ওই ছাত্র ঘটনাটি তার সহপাঠীদের বলে দেয়। এ ঘটনা শুনে সাইদুল তাকে মারধর করেন। পরে ওই ছাত্র মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। একই দিন রাতে শিক্ষার্থীর বাবা ঘটনাটি জানালে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সাইদুলকে মাদ্রাসা থেকে ধরে এনে মারধর করে। পরে তার চুল কেটে থানায় নিয়ে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার সাইদুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। পুলিশ ভুক্তভোগী ছাত্রের বয়ান নিলে জানা যায়, আরও কয়েক শিক্ষার্থীকেও বলাৎকার করেছেন সাইদুল।
ওই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রতন জানান, মাদ্রাসায় নূরানী ও হেফজ শাখায় ৪৮জন আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়া পর তদন্ত মারফত তারা জানতে পারেন আগে আরও চার শিক্ষার্থীকে সাইদুল বলাৎকার করেছেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আটক মাদ্রাসা শিক্ষক সাইদুলকে বিকেলে আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।