Site icon অবিশ্বাস

কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণের পর খুনের অভিযোগে সহপাঠি গ্রেফতার

ঢাকার কেরানীগঞ্জে অপহরণের ৪ দিন পর মোকসেদুল মমিন (১৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিহতের সহপাঠি মো. ফাহিমকে (১৯) আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার রতনের খামার এলাকায় একটি নির্জন মাঠে বালুচাপা দেওয়া অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মোকসেদুল মমিন কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া এলাকার চানমিয়া ওহাবুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ফাহিমও ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

জানা যায়, গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোকসেদুল মমিন বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। পরদিন মোবাইলে ফোন দিয়ে তার বাবাকে জানানো হয় মোকসেদুলকে অপহরণ করা  হয়েছে এবং জীবিত অবস্থায় পেতে হলে ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। এরপর মোকসেদুলের বাবা সাহাবুদ্দিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তিনি দুই দফায়  মোট ১০ হাজার টাকা অপহরণকারীদের বিকাশের মাধ্যমে দেন। বিষয়টি র‌্যাবকে জানানো হলে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারী মোকসেদুল মমিনের সহপাঠি ফাহিমকে পুরান ঢাকার নবাবপুর রোড থেকে আটক করা হয়। ফাহিমের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মোকসেদুল মমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা একটি রক্তাক্ত চাকু উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-১০ কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পের ডিএডি বদিউল আলম  বলেন, ফাহিম ও মোকসেদুল মমিন সহপাঠি। মোটা অংকের টাকা আদায় করার জন্যেই ফাহিম তার বন্ধু আরিফ এবং রাজুকে নিয়ে মোকসেদুল মমিনকে অপহরণ করে ঐ এলাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তিতে জুসের সঙ্গে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে মোকসেদুলকে অচেতন করার পর চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মাছুম আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যামামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বাংলা নিউজ

Exit mobile version