Site icon অবিশ্বাস

কোটালীপাড়ায় মন্দিরের প্রতিমায় আগুন

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় একটি মন্দিরের দুর্গা প্রতিমা আগুনে পুড়ে গেছে। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দুর্বৃত্তরা প্রতিমায় আগুন দিয়েছে। আর পুলিশ বলছে, ধুপকাঠি থেকে আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে।

 

২২ অক্টোবর শুক্রবার রাতে উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের কাঠিগ্রামের কাঠিগ্রাম সার্বজনীন কালী ও দুর্গা মন্দিরে আগুনের এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার ভোরে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ, ওসি মো. আমিনুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এছাড়াও উপজেলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে মন্দির চত্ত্বরে উপজেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্দির কমিটির সভাপতি রনদা প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস,, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, পৌর মেয়র হাজী মো. কামাল হোসেন শেখ, পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছাইদ শিকদার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কোটালীপাড়া শাখার সভাপতি কার্ত্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, যে কোন মূল্যেই হোক কোটালীপাড়া উপজেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা হবে।

মন্দির কমিটির সভাপতি রনদা প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘এই মন্দিরে প্রতি বুধবার রাতে হরিসভা ও শুক্রবার রাতে গনেশ পাগলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার রাতে এই মন্দিরে গনেশ পাগলের সভা করি। রাত ১টায় সভা শেষ করে মন্দিরের তালা মেরে সবাই চলে যাই। ভোরে শিখা রানী বাড়ৈ নামে এক নারী মন্দিরে প্রণাম দিতে গিয়ে আগুন দেখে আমাদের খবর দেন। পরে আমরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলি। আমাদের ধারণা দূর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

শিখা রানী বাড়ৈ বলেন, ‘ভোরে মন্দিরে এসে দুর্গা মায়ের প্রতিমাটি পড়ে থাকতে দেখি। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।’

পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছাইদ শিকদার বলেন, ‘এই মন্দিরে প্রায় শত বছর ধরে দুর্গা পূজা হয়। এখানে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে। এদের মাঝে কোন বিরোধ নেই। প্রশাসন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটন করুক।’

কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মন্দিরের ধুপকাঠি থেকে এ আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তদন্ত করে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করা হবে।’

সমকাল

Exit mobile version