রাজধানীর খিলগাঁওয়ে সন্ত্রাসীরা একটি মন্দিরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে মন্দিরের বেড়া ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। শনিবার ভোর রাতে মেরাদিয়া বুড়াবুড়ির আশ্রমে এ ঘটনা ঘটে। মন্দিরে আগুনের ঘটনায় এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। গতকাল থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৩টার দিকে কে বা কারা মন্দিরের বেড়ায় কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মন্দিরের বেড়াসহ কিছু আসবাবপত্র পুড়লেও নতুন নির্মিত দুর্গা প্রতীমা অক্ষত রয়েছে। এদিকে মেরাদিয়া বুড়াবুড়ির আশ্রম কমিটির সভাপতি পরেশ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত জানিয়েছেন, রাত পৌনে তিনটার দিকে মন্দির এলাকায় হৈচৈ শোনা যায়। এর পরই মন্দিরে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। লোকজনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ফলে বড় ধরনের কোন অঘটন ঘটেনি। মেরাদিয়া হিন্দু মহল্লায় ৬০/৭০টি পরিবার বসবাস করে। সবাই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে, একটি মহল (নাম বলেনি) তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এ অবস্থায়ও তারা সবাই মিলে আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এ ঘটনায় গতকাল পরেশ সরকার বাদি হয়ে খিলগাঁও থানায় জিডি করেছেন। অপরদিকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহানগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস জানান, নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপনের পরিবেশ নষ্ট হবে। তিনি মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
যুগান্তর, ১৫ অক্টোবর ২০০১