Site icon অবিশ্বাস

খুলনার পাইকগাছায় ধর্ষণের পর ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে

খুলনার পাইকগাছায় এক নারীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। ৪ এপ্রিল শনিবার পাইকগাছা থানায় ওই নারী বাদী হয়ে মামলা করার পর ওই দিন রাতে অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

মামলার আসামি হলেন স্কুলশিক্ষক তরিকুল ইসলাম ওরফে টিটু। তিনি পাইকগাছা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তরিকুল বর্তমানে চাঁদখালী ইউনিয়নের গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত শিক্ষক তরিকুল ইসলাম রেজ্জাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মেয়ে রেজ্জাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রী ছিলেন। এ সময় তরিকুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। পরে ওই শিক্ষক বদলি হয়ে গজালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে আবারও কু-প্রস্তাব দিলে তাতে রাজি না হওয়ায় আগের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তরিকুল ধর্ষক নারীর নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এজাজ শফী  বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ৪ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ওই নারীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জব্দ হওয়া মোবাইল এবং অন্য আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রথম আলো

Exit mobile version