খুলনা রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় গৃবহ্ধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেছে আদালত।
মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা গ্রহণের আদেশ দেন। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূ এই মামলার আবেদন করেন। এদিন মামলা গ্রহণ না করে অন্য ট্রাইব্যুনালে পাঠায় আদালত।
এর আগে ভুক্তভোগী ওই নারী আদালতের নির্দেশে ১০ আগস্ট রাতে জিআরপি থানায় পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ করে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক ওসি উছমান গণি পাঠান, এসআই নাজমুল হক ও অজ্ঞাত আরও তিন পুলিশ সদস্যকে। এর আগে থানায় ওই গৃহবধূকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে ওসিসহ দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়। ক্লোজড হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন-জিআরপি থানার ওসি উছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২ আগস্ট ওই গৃহবধূ যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। ট্রেন থেকে নামার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করেন। পরে গভীর রাতে জিআরপি থানার ওসি উছমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন।
পরদিন শনিবার তাকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান করা হয়। আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর ওই তরুণী জিআরপি থানায় তাকে ধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন।