Site icon অবিশ্বাস

গফরগাঁওয়ে সহপাঠীদের নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসার শিক্ষার্থী

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বলাৎকারে রাজী না হওয়ায় শাখাওয়াত হোসেন সা’দ(৮) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে হাত-পা, চোখ-মুখ বেধে রট দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে তার সহপাঠীরা।

৫ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের লোকজন মাদ্রাসা থেকে শিশু শিক্ষার্থী কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন । ৪ নভেম্বর সোমবার বিকালে  উপজেলার পাগলা থানাধীন বারইহাটি পশ্চিম পাড়া হাফেজিয়া মাদরাসায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার বারইহাটি গ্রামের আসাদুজ্জামান তার শিশুপুত্র শাখাওয়াত হোসেন সা’দকে(৮) গত জুলাই মাসে হাফেজী পড়ানোর উদ্দেশ্যে একই গ্রামের পশ্চিম পাড়া হাফেজিয়া মাদরাসায় ভর্তি করেন। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর থেকেই মাদরাসার সহপাঠি বড় শিক্ষার্থীরা শিশুটির পিছনে লাগে ও বলাৎকারের চেষ্টা চালায়। শিশুটি এতে রাজী না হওয়ায় নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে । তবে নির্যাতনের সময় যাতে কান্নাকাটি করতে না পারে সে জন্য শিশুটির চোখ-মুখ বেধে রাখা হতো। লাঠি-রড দিয়ে পেটানো ছাড়াও মাঝে মাঝে সৌর বিদ্যুতের দুই তার একত্রিত করে দুই হাতে বিদ্যুতের সক দেওয়া হতো। নির্যাতনের কথা কাউকে জানালে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিতো নির্যাতনকারীরা। সোমবার বিকাল ৩টার দিকে মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ রাকিবুল হাসান পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় মাদরাসার বড় শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর, মোস্তাকিন, ইমন, তুহিন, রিফাত, তানহাজ, মাসুম শিশুটিকে ‘নফল নামাজের কথা বলে’ মসজিদের ভিতর ধরে আনে। পরে সবাই মিলে শিশুটির চোখ-মুখ বেধে লোহার রড দিয়ে বেদম পেটায় এবং এ কথা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। । এ অবস্থায় ভয়ে শিশুটি কাউকে কিছু জানায়নি। মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থী শাখাওয়াত হোসেন শাদের পিতা আসাদুজ্জামান ছেলেকে দেখতে গিয়ে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে শিউরে উঠেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বারইহাটি পশ্চিম পাড়া হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ রাকিবুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধর করা হতো এটা আমি জানতাম না। পরে জেনেছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন সাগর বলেন, খবর পেয়ে আমি শিশু শির্ক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তবে নির্দয় ভাবে মেরেছে, দেখলে যে কারো চোখে পানি এসে যাবে।

পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুজ্জামান খান বলেন, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হবে।

সূত্র

 

Exit mobile version