Site icon অবিশ্বাস

গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্কুল থেকে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ২২ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্কুল থেকে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ২২ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে বদরুল (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ২২ দিন পর অপহৃত শিক্ষার্থীকে শ্রীপুর উপজেলার থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

 

১০ জানুয়ারি রোববার রাতে কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওপাড়া এলাকা থেকে অপহরণকারী বদরুলকে আটক করা হয়। তিনি শ্রীপুর উপজেলার নান্দিয়া সাংগুন গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম খানের ছেলে। ১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় রোববার রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওপাড়া এলাকা থেকে ধর্ষক বদরুল আহাম্মদ খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার রেজাল্ট আনতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়। তার বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজির পর তার কোনো সন্ধান না পেয়ে ২১ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরে রোববার রাতে ওই ছাত্রীকে শ্রীপুর থেকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী জানান, মোবাইল ফোনে বদরুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে কথা হতো। সেই সুবাদে তাদের মাঝে প্রেমের সখ্যতা গড়ে উঠে। ১৯ ডিসেম্বর বদরুলের কথা মতো তিনি জাঙ্গালীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে যান। সেখানে গেলে বদরুলসহ তার অজ্ঞাত আরও কয়েক বন্ধু মিলে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে জাঙ্গালীয়া এলাকায় তার এক ভগ্নীপতির বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে জিম্মি করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে বদরুল।

যুগান্তর

Exit mobile version