বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরগঞ্জের এক গৃহবধূকে (২৫) সিলেটে এনে ৯ জনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১৩ জুলাই মঙ্গলবার পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
১৪ জুলাই বুধবার সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল ফোনে রং নাম্বারে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার এক গৃহবধূর সঙ্গে পরিচয় হয় সিলেট এয়ারপোর্ট থানার লাউগুল গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে জামেদ আহমদ জাবেদের (৩৬)। পরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূকে বিয়ে ও তার দুই সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করবে- এই প্রলোভন দেখায় জাবেদ।
অবশেষে গত শনিবার ভিকটিমকে ফুসলিয়ে সিলেট নিয়ে আসে জাবেদ। গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ সিলেটে আসলে তাকে এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নে বুরজান চা-বাগানের সুন্দর মরাকোণা টিলার উপর একটি ছাউনিতে নিয়ে যায় জাবেদ।
সেখানে আগ থেকেই জাবেদের সহযোগী এয়ারপোর্ট থানার ফড়িংউরা গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে ফয়সল আহমদ (২২), বাজারতল গ্রামের ইসরা হালিমের ছেলে রাসেল আহমদ (২৪) ও সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শুক্কুরের বাজার এলাকার জামিল আহমদ (২২) উপস্থিত ছিল। এই ৪ জন মিলে কিশোরগঞ্জের ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরও ওই গৃহবধূকে আটকে রাখে জাবেদ ও তার সহযোগীরা।
দুই দিন আটকে রাখার পর মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাস্থলে যায় জাবেদের সহযোগী আরও ৫ ধর্ষক। তারা হলো- এয়ারপোর্ট থানার ফড়িংউরা গ্রামের মুজিবুরের ছেলে রুবেল (২৫), কামাল উদ্দিনের ছেলে ইমাম (২৫), ইশরাক আলীর ছেলে ফারুক (২৩), মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মো. মোশাহিদ আহমদ (২৭) ও জামালের ছেলে আবুল (২৬)।
পরে এই ৫ জনও ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তাদের ধর্ষণের পর মঙ্গলবার দুপুরে ওই গৃহবধূ কৌশল করে সেখান থেকে পালিয়ে এসে এক পথচারীর মাধ্যমে পুলিশে খবর দিলে এয়ারপোর্ট থানার একদল পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষক জাবেদ ও মো. মোশাহিদ আহমদকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধর্ষক ফয়সল আহমদ ও রাসেল আহমদকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
ভিকটিমকে উদ্ধারের পর পুলিশ তাকে সিলেট এমএজি ওসমনী মেডিকেল হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
বুধবার বিকালে ধর্ষণের ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে এসএমপির উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ যুগান্তরকে জানান, এটা নিঃসন্দেহে একটি জঘন্য অপরাধ। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।