Site icon অবিশ্বাস

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে (৬) ধর্ষণের অভিযোগে চার জনকে আটক করেছে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৭টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় বাড়িতে লোকজন না থাকায় মায়ের দুঃসম্পর্কের চাচাতো ভাই নির্মাণাধীন একটি দালানের মধ্যে ডেকে নিয়ে মুখ চেপে রেখে ধর্ষণ করে। এরপর কাউকে না বলার ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, ছাত্রীর বাবা বিদেশে থাকায় মা ও মেয়ে ঐ উপজেলায় খালেক বাজারে ভাড়া থাকেন। মেয়েকে নিয়ে গত ১ মে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মেয়েকে খেতে দিয়ে পাশের বাড়ির টিউবওয়েল পানি আনতে যায় নির্যাতনের শিকার ঐ ছাত্রীর মা।

তার অভিযোগ, বাড়িত কেউ না থাকার সুযোগে পাশের বাড়ির হাশেম ফকিরের ছেলে মিল্টন ফকির (২২) তাকে প্রথমে ডেকে নিয়ে যায় নির্মাণাধীন দালানে। তারপর ঐ ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। তারপর তাকে ভয় দেখিয়ে বলে, কারো কাছে বললে তাকে এবং তার মাকে মেরে ফেলবে।

ঐ ছাত্রী মা বলেন, ‘আমার কাছে মেয়ে খেতে চায় ,আমি তাকে ঘরের সিঁড়ির উপর খেতে দিয়ে পাশের বাড়ির টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যাই। পানি নিয়ে একটু দেরিতে ফিরে আমার মেয়েকে সিঁড়িতে দেখতে না পেয়ে তাকে অনেক ডাকাডাকি করি। এরপর ঘরের বাইরে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে নির্মানাধীন দালান থেকে হেঁটে আসতে পারছেন না, সে কাঁপছে। দৌড়ে গিয়ে আমি আমার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দেই। আমার মেয়ে শুধু একটি কথাই তখন বলে, মা মিল্টন মামা আমাকে…….! বলেই অচেতন হয়ে পড়ে।’

এরপর তাকে প্রথমে দ্রুত টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সময় নিউজ

Exit mobile version