Site icon অবিশ্বাস

গোপালগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তাদের তালিকাসহ জিহাদি বই উদ্ধার

গোপালগঞ্জ শহরের আবুল বাশার লেনে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে একটি ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 

ঘটনাস্থল থেকে শিবিরের নেতা সন্দেহে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আবুল হায়াত (২৫) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, তালিকায় অন্তর্ভুক্ত পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা হলেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মিরপুরের পরিদর্শক সালাউদ্দিন লুই ও আবু হাজ্জাজ। এ সময় ওই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই, প্রচারপত্র, ডায়েরি, চাঁদা আদায়ের রসিদ, জিহাদি সিডি, কম্পিউটার, মুঠোফোন, শীর্ষ নেতাদের মুক্তির পোস্টার, সদস্য ফরমসহ বিভিন্ন সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে।
বিকেলে শহরের মিয়াপাড়ার আবুল বাশার লেনের খোরশেদ আলম সিকদারের বাসা থেকে এসব সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিক দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া তালিকায় পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম, ঠিকানা, ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য, বর্তমান অবস্থান ও গোপালগঞ্জ শহরের তাঁদের নিকটাত্মীয়দের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। তালিকায় প্রথমে আছে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানের নাম। তথ্য বিবরণীর ওপর লেখা এসপি হাবিব। আবু হাজ্জাজের তথ্য বিবরণীতে লেখা হয়েছে নাম ও পদমর্যাদা। এরপর লেখা ‘বুকের উপর পাড়া’। ক্রমান্বয়ে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা, গ্রামের বাড়ির ঠিকানা, চাকরির বিবরণ, গোপালগঞ্জ শহরে তাঁর ভাইয়ের বাড়ির অবস্থান। পরিদর্শক সালাউদ্দিন লুইয়ের তথ্য বিবরণীতে চাকরিতে যোগদান, তাঁর এক ভাইয়ের নাম ও রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে।
ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই আস্তানায় পুলিশ অভিযান চালায়। সেখানে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা থাকতেন বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই শিবিরের পাঁচ-ছয়জন নেতা এই বাড়িটিতে থাকতেন। রাতে তাঁরা প্রায়ই বৈঠক করতেন। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে অপরিচিত লোকজন এ বাড়িতে আসা-যাওয়া করত।’
ওসি আরও বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের নামের তালিকার ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, শিবির এই কর্মকর্তাদের হয়তো টার্গেট করেছে। আটক যুবককে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গোপালগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। আটক যুবককে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রথম আলো

Exit mobile version