Site icon অবিশ্বাস

গোপালগঞ্জে মসজিদ কমিটির দ্বন্দ্বে যুবক নিহত, প্রতিপক্ষের বাড়ি লুট

গোপালগঞ্জে মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ৩ জুলাই শুক্রবার প্রতিপক্ষের টেঁটার আঘাতে এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

 

এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকলেও প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িরে ফিরতে পারছেন না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার হত্যাকাণ্ডের পর চরবয়রা এলাকায় প্রথম দফায় প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

শনিবার লাশ দাফনের পর দ্বিতীয় দফার আবারও মিজান মোল্লা, জুয়েল মোল্লা, তমিজুল মোল্লা, সাদিকুল মোল্লা, রফিকুল মোল্লা ও মহিবুর মোল্লাসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে নিহতের পক্ষের লোকজন। ফলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অন্তত ২০টি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। মসজিদ কমিটির লোকজন জানায়, সম্প্রতি মসজিদের জন্য সরকারি অনুদান আসে। জাহিদ মোল্লা আগে ওই মসজিদের সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি নিজের থেকেই অনেকটা দায়িত্ব থেকে তাকে গুটিয়ে নেন। এছাড়া কমিটির অন্য সদস্যদের অভিযোগ জাহিদ মোল্লাকে সভাপতি করলে তিনি ঠিক মতো ইমামের টাকা পরিশোধ করতে চান না। ফলে ইমাম সাহেবের সংসারে টানাপোড়েন লেগে থাকে। ইমাম সাহেব মসজিদে থাকতে চাননা। ফলে কমিটির লোকজন জাহিদ মোল্লাকে বাদ দিয়ে মিজান মোল্লাকে সভাপতি করার তার নাম প্রস্তাব করে।

নিহত তুহিন মোল্লার পিতা আকরাম মোল্লা (৭৫) জানান, তার ছেলে ওই পাশ্ববর্তী চরবয়রা জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। নামজ শেষে সে শুনতে পায় চরপাড়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে তার বাবাকে অপমান করা হয়েছে। এ খবর শুনে তুহিন মোল্লা ৪-৫ জন যুবকসহ ওই মসজিদের দিকে যাওয়ার সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে টেঁটাবিদ্ধা করে হত্যা করে। তিনি তার পুত্র শোকে কাতর। তিনি তার পুত্রের হত্যার বিচার চান।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষেরই মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা দু’জনকে আটক করেছি। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যুগান্তর

 

Exit mobile version