Site icon অবিশ্বাস

ঘটনাস্থল নীলফামারীর ডোমার হিন্দু বিধবার কোটি টাকার সম্পদ লুটে নেয়ার পাঁয়তারা

জেলার ডোমার উপজেলা সদরের এক বিত্তশালী হিন্দু ব্যবসায়ীর বিধবা স্ত্রী তার কোটি টাকার সম্পদ দখলকারীদের ভয়ে এবং জীবননাশের আশঙ্কায় বিবাহযোগ্যা কন্যা ও নাবালক শিশুপুত্রকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ন্যায ̈বিচার পাওয়ার আশায় তিনি ঘুরছেন দ্বার থেকে দ্বারে। ডোমার বাজারস্থ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুশীল কুমার আগরওয়ালা ছিলেন এলাকার শীর্ষ ̄ স্থানীয় ব্যবসায়ী। ধান, চাল পাট ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায় ছিলেন প্রধান। ডোমারের একটি প্রভাবশালী মহলের প্ররোচনার শিকার হয়ে ড্রাগ আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। প্রভাবশালী মহল তাকে ড্রাগ আসক্ত করে স্বল্পমূল্যে তার মূল্যবান সম্পদ হাতিয়ে নেয়। ১৯৮৯ সালে স্থানীয় কিছু লোক তার একতলা বাসা, ২৮টি দোকানসহ ৫৬ শতাংশ জমি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় উদ্যেগ নিয়ে ২৮ দিন জেল হাজতে রেখে এবং পরে ঢাকা ও মাদ্রাজে বিভিন্নভাবে তার চিকিৎসা চালিয়ে ড্রাগ আসক্ত থেকে তাকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর একমাত্র শিশুপুত্র , কন্যা ও স্ত্রীর ভবিষৎ চিন্তা করে অবশিষ্ট ৫৬ শতাংশ জমি, দোতালা বাসা ও ২৮টি দোকান ৭০৯৭ নং রেজিস্টার দলিল মূল্যে দানপত্র করেন। ১৯৯৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুশীল আগরওয়ালা মারা যাওয়ায় স্ত্রী সন্তোষী দেবী আগরওয়ালা কন্যা ও নাবালক পুত্রকে নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষৎ দেখতে পান। সুশীল কুমারের মৃত্যুর আগে (অসুস্থ অবস্থায়) ২৮ জন ভাড়াটে দোকানদার ভাড়া প্রদানে গড়িমসি শুরু করে। প্রতি মাসে যেখানে ৮৮০-৯০০ টাকা ভাড়া আসত সেখানে এক থেকে দেড়শ’ টাকা ভাড়া প্রদান করে। মৃত্যুর পর তাও বন্ধ হয়ে যায় এবং দোকানের মালিকানা দাবি করে বসে অনেক প্রভাবশালী ও রাজনীতিক। সবাই প্রচার করে দোকান ও জায়গা ক্রয় করেছি। স্বামীর মৃত্যুতে শোকাতুর অসহায় সন্তোষী দেবী ভাড়াটিয়া দোকানদারদের কাছে শত ধরনা দিয়ে জীবন ধারণের মতো টাকা আদায়েও ব্যর্থ হন। জেলা প্রশাসন, পুলিশপ্রশাসন, সংসদ ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভাসহ সকল মহলে অনেক আবেদন-নিবেদন করেও কোনো ফলাফল হয়নি। একটি প্রভাবশালী মহল সমস্ত সম্পত্তি লাওয়ারিশ করনের উদ্যেগ নিলে পরে কিছু শুভাকাক্সক্ষীর হস্তক্ষেপে রেহাই পায় সন্তোষী দেবী। কন্যা ও পুত্রের জীবননাশের হুমকি দেয়ায় বাধ্য হয়ে তিনি সৈয়দপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। প্রভাবশালী মহল একমাত্র উত্তরাধিকারী জনি আগরওয়ালাকে হত্যা করে মালিকানা দাবির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

সংবাদ, ৬ নবেম্বর ২০০১

Exit mobile version