Site icon অবিশ্বাস

চট্টগ্রামে ধর্ষণের ১০ মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

একের পর এক শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি পুলিশের।

 

নিহত মো. বেলাল হোসেন দফাদার আগে বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায় থাকলেও সর্বশেষ সীতাকুণ্ড কালু শাহ মাজার এলাকায় থাকতেন। পেশায় তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। একই কায়দায় একের পর এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বেলাল।

পুলিশ জানিয়েছে, বেলালের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে, যার ১০টিই ধর্ষণের মামলা।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, শান্তিনগরের পাহাড়ি এলাকায় বেলাল অবস্থান করছে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে বেলালের সহযোগীরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে বেলালের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। তবে সহযোগীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে বেলালকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য বেলালের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার পরিত্রাণ তালুকদার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি, আকবরশাহ ও খুলশী এলাকায় আট শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। অনুসন্ধানে বেলাল দফাদারের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদে গত ১৫ দিনে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২ শিশু। গত ৬ মাসে ৮ শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে একই কায়দায়। শিশুদের চকলেট ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে পাহাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে ছেড়ে দেওয়া হতো। শিশুরা কান্না করলে ছুরি দিয়ে ভয় দেখানো হতো। একই কায়দায় একের পর এক শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে বেলালের ছবি সংগ্রহ করে ধর্ষণের শিকার শিশুদের দেখানো হয় এবং তারা বেলালের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করে। এরপর থেকে তাকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল পুলিশ।

সমকাল

Exit mobile version