Site icon অবিশ্বাস

চট্টগ্রামে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামি নিহত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম কাজল (৪৮)।

 

পুলিশের দাবি, নিহত কাজল উপজেলার ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামী সংযোগ সড়কে গরুবাহী গাড়িচালক আবদুর রহমান হত্যা মামলার আসামি। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার তারুকান্দি উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে। চট্টগ্রামে তিনি আকবর শাহ এলাকার ঝর্ণাপাড় এলাকায় থাকতেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামীসংযোগ সড়কটির ৪ নম্বর সেতু এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামীসংযোগ সড়কটির ৪ নম্বর সেতু এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়েছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে কাজলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, দুটি এলজি, ১৫টি কার্তুজ, একটি কার্তুজের খোসা, দুটি রামদা ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। র‍্যাবের পক্ষ থেকে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নিহত কাজল উপজেলার ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামী সংযোগ সড়কে গরুবাহী গাড়িচালক আবদুর রহমান হত্যা মামলার আসামি বলে জানান ওসি (তদন্ত)।

গত ১৬ জুলাই ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামীসংযোগ সড়কটির ৪ নম্বর সেতু এলাকায় চট্টগ্রাম নগরের বিবিরহাটগামী গরুবাহী ট্রাক থেকে কোরবানির গরু লুট করতে যায় ডাকাতরা। এসময় লুট করতে না পেরে ট্রাকচালক আবদুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে ডাকাতরা। ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির এক আত্মীয় সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় র‌্যাবের হাতে আটজন গ্রেফতার হয়। তাদের মধ্যে চারজন খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। তারা রিমান্ডে আছে।

আদালতে দেওয়া চার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও উঠে আসে, কাজল ট্রাকচালক আবদুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করেছে।

যুগান্তর

Exit mobile version