Site icon অবিশ্বাস

চাঁদপুরের কচুয়ায় ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগে ২ মামা আটক

চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায় ১৪ বছরের আপন ভাগ্নিকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে শিপন হোসেন (১৯) নামে এক যুবককে আটক করেছে কুমিল্লা র‌্যাব-১১। এ সময় ঘটনা ধাপাচাপা দেওয়ার অভিযোগে তার সহযোগী অপর ভাই মফিজুল ইসলামকেও আটক করে র‍্যাব।

 

বুধবার (৬ অক্টোবর) রাতভর অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফ্ফরগঞ্জ ও চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার বানিয়া দীঘিরপাড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১ এর মেজর মোহাম্মদ সাকিব জানান, কচুয়ার জুনাসার গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শিপন হোসেন গত বছরের অক্টোবর হতে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তার আপন কিশোরী ভাগ্নিকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে হতদরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

বিষয়টি প্রথমে কিশোরীর মা বুঝতে পেরে তার ভাই মো. মফিজুল ইসলামকে জানালে সে বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করতে নিষেধ করে। এরই মধ্যে মফিজুল ইসলাম পরিবারকে জোরপূর্বক কুমিল্লার লাকসামে একটি ভাড়া বাসায় রাখেন। কাউকে জানালে ভিকটিমের পরিবারকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করে দেবে বলে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং কিশোরীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। পরে মৃত সন্তানটিকে ধর্মীয় বিধান অনুসরণ না করেই তডিঘড়ি করে দাফন করে ফেলেন।

এদিকে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকের সহযোগী ভাই মফিজুল ইসলামের নিকট চিকিৎসার জন্য টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসার টাকা না দিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীসহ পরিবারটিকে লাকসামের ভাড়া বাসা থেকে বিতাড়িত করে চাঁদপুরের কচুয়া গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, ওই কিশোরীর মায়ের মোবাইল ফোনে এমন অভিযোগ জানার পর বুধবার রাতভর অভিযান পরিচালনা করে কিশোরীর ধর্ষক মামা শিপন হোসেন ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী সহযোগী মফিজুল ইসলামকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার চাঁদপুরের কচুয়া থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

ইত্তেফাক

Exit mobile version