Site icon অবিশ্বাস

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১১ মে) ভোরে কচুয়া উপজেলার আমুজান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শাহরাস্তি থানার ওসি মো. শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় শাহরাস্তি থানায় মেয়ের মা বাদী হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সিএনজি অটোরিকশাচালক ফাহিম (২১) ও জিহাদকে (১৯) গ্রেফতার করেছে। জিহাদ কচুয়া উপজেলার চন্দিয়াপাড়া গ্রামের মোল্লাবাড়ির মৃত ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে ও ফাহিম একই উপজেলার আমুজান গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

ওসি জানান, আটক দুইজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চাঁদপুরে পাঠানো হবে।

মেয়েটির মা ফেরদৌস বেগম জানান, তার মেয়ে সেহরি খাওয়ার পর ভোরে বাড়ির আঙিনায় আম কুড়াচ্ছিল। দীর্ঘক্ষণ তাকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করা হয়। পরে জানেন তাকে অপহরণ করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

আটকের পর জিহাদ জানায়, ফাহিম মেয়েটিকে দেখে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পরে সেখানে মেয়েটিকে মুখে কাপড় বেঁধে সিএনজিতে করে কচুয়া উপজেলার আমুজান বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি সেহরি খাওয়ার পর তার বাড়ির আঙিনায় আম কুড়াতে যায়। তখন বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া চাঁদপুর-কচুয়া সড়কে থাকা সিএনজিচালক ও তার সহযোগী তরুণীকে দেখে তাকে অপহরণ করে কচুয়া উপজেলার আমুজান এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাগানবাড়িতে তাকে ফাহিম ও জিহাদ ধর্ষণ করে। ফজর নামাজ শেষে মুসল্লিরা বাড়ি যাওয়ার পথে আমুজান এলাকার বাগানবাড়িতে মেয়েটিকে কাঁদতে দেখে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যুবক জিহাদকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাগানের ভেতর থেকে সিএনজিচালক ফাহিমকে আটক করা হয়। পরে আটকদের গণধোলাই দিয়ে কালিয়াপাড়ায় এনে শাহরাস্তি থানায় খবর দেওয়া হয়। শাহরাস্তি থানার এসআই আবদুল আউয়াল তাদের থানায় নিয়ে আসেন।

বাংলা ট্রিবিউন

Exit mobile version