Site icon অবিশ্বাস

চাঁদার দাবিতে নির্যাতন ॥ মামলা না করেও বাঁচতে পারলেন না চরফ্যাশনের ক্ষুদিরাম

জীবননাশের ভয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতিত হলেও বিএনপি ক্যাডারের বিরুদ্ধে মামলা করেননি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ক্ষুদিরাম মিস্ত্রী। তারপরও তিনি বাঁচতে পারেননি। মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান। পুলিশ দাবি করেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষুদিরাম মারা গেছে। তবে ডাক্তাররা বলেছেন হৃদরোগের কারণে তাঁর মৃত্যু ঘটেনি । পুলিশ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। ভোলা সংবাদদাতা জানান, নির্বাচনের পরের দিন ২ অক্টোবর ছাত্রদলের ক্যাডার রাসেল উপজেলার শরীফপাড়ায় সাইকেল পার্টসের ব্যবসায়ী ক্ষুদিরাম মিস্ত্রীর কাছে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই সঙ্গে চাঁদা না দিয়ে দোকান না খোলার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ক্ষুদিরাম মিস্ত্রী চাঁদা না দিয়ে মঙ্গলবার দোকান খোলেন। এ সংবাদ জানতে পেরে রাসেল তার ১০/১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা করে ক্ষুদিরাম মিস্ত্রীর ওপর । প্রকাশ্যে দিনের বেলায় তারা তাকে বেড়ধক পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। তাঁকে চরফ্যাশন উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ছাত্রদল ক্যাডার রাসেল সেখানে গিয়ে তাঁকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে কোন মামলা না করার জন্য বলে। জীবনের ভয়ে ক্ষুদিরাম মামলা দায়ের করতে সাহস করেননি। কিন্তুু মামলা না করেও তিনি বাঁচতে পারলেন না। মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান। বুধবার তাঁর লাশ ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। চরফ্যাশন থানায় বুধবার দুপুরে যোগাযোগ করাহলে ডিউটি অফিসার এসআই বারেক জানান, ক্ষুদিরাম মিস্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কিন্তুু লাশের ময়না তদন্তকারী ডাক্তার শাহ আলম জানান, আর যাই হোক তাঁর মৃত্যু হৃদরোগে হয়নি।

দৈনিক জনকন্ঠ, ১৯ অক্টোবর ২০০১

Exit mobile version