Site icon অবিশ্বাস

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

চুয়াডাঙ্গায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ১৪ মার্চ শনিবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, মাদকবিরোধী নিয়মিত অভিযানে জাহিদুলকে আটক করা হয়। কিন্তু থানায় নেয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। ঘটনা তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

 

জাহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে সদর হাসপাতালের পরিবেশ।

স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুরে সমিতির ঘর নির্মাণের কাজ দেখাশোনা করছিলেন জাহিদুল ইসলাম। এসময় তিনজন পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে আটক করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাহিদুলের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে জনতার সামনেই বেধড়ক মারধর করে। এতে জাহিদুলের মৃত্যু হয় বলে দাবি স্বজনদের। স্থানীয়রাও পুলিশকে দায়ী করে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, মাদকবিরোধী নিয়মিত অভিযানে আটক করে থানায় নেয়ার পথেই মৃত্যু হয় জাহিদুলের।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামিল কবির বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৪৪ মিনিটে পুলিশ তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে ডাক্তার সোহরাব হোসেন পরীক্ষা করে দেখেন তিনি মারা গেছেন।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু তারেক বলেন, কেউ মারা গেলে স্বজনরা এমনটা দাবি করেন। তাকে থানায় আনা হয়নি, তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় পথের মাঝেই তিনি ব্যথা অনুভব করলে তাকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত জাহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ছিলেন।

সময় নিউজ টিভি

Exit mobile version