চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার একটি গ্রামে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রী এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলে অভিযুক্ত আবু সাঈদ (২১) নামের এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অন্তঃসত্ত্বা ওই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ১৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তার আবু সাঈদ সদর উপজেলার একটি গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে এবং একই উপজেলার বড়শলুয়া নিউ মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
সদর উপজেলাধীন বেগমপুর ইউনিয়ন নবগঠিত দর্শনা থানার অধীনে পড়েছে। দর্শনা থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর মা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দর্শনা থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন শুক্রবার গ্রেপ্তার আবু সাঈদ ও অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীকে আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আদালতের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে ভুক্তভোগী। আদালতের বিচারক অভিযোগ শোনার পর অভিযুক্ত কলেজছাত্রকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। স্কুলছাত্রীকে মামলার বাদীর (মা) জিম্মায় দেন।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী বর্তমানে তার মায়ের জিম্মায় আছে। সন্তান প্রসবের পর তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। প্রকৃত দোষীর শাস্তি নিশ্চিত করতে যা যা করার করা হবে।