জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দাদার বিরুদ্ধে। ১৮ জুন মঙ্গলবার চকলেটের লোভ দেখিয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন তারা মিয়া (৬০) নামে ওই ব্যক্তি। ১৯ জুন বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর মৃর্ধাপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন তারা মিয়া। গত মঙ্গলবার বাড়িতে কেউ না থাকায় তিনি তার ভাতিজার সাত বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঘরের ভেতর নিয়ে যান। পরে সেখানে ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন তিনি। শিশুটি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশী লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় পালিয়ে যান তারা মিয়া।
ঘটনা জানার পর শিশুর বাবা-মা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামরুজ্জামান ফারুক ও সাইফুল ইসলামের কাছে অভিযোগ জানান। তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলেও কালক্ষেপন করেন।
বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করান শিশুটির বাবা-মা। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে তারা মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে কামরুজ্জামান ফারুকের সঙ্গে কথা হলে জানান, বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনী সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আপোষ মিমাংসার নামে কালক্ষেপনের বিষয়টি সঠিক নয়।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে এম মাহবুব আলম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তারা মিয়াকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।