Site icon অবিশ্বাস

জামালপুরে বিধবা কার্ড চাইতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ‘মারধরের শিকার’

বিধবা ভাতার কার্ড চাইতে গিয়ে এক বৃদ্ধা নারী ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১১ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় ওই বিধবা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে জানান, সকালে জামালপুর সদরের শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবনে স্ত্রীসহ চেয়ারম্যান তাকে মারধর করেছেন।

অভিযোগকারী ওই নারী জামালপুর সদর উপজেলার রাঙামাটিয়া গ্রামের মৃত আক্কাস আলী শেখের স্ত্রী হুনুফা বেওয়া।

জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে বিট পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

“বিধবা হুনুফা বেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

অভিযোগে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে হুনুফা বেওয়া বলেন, বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ৭/৮ মাস আগে শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদে যান। কার্ড করে দিতে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে কার্ডের জন্য ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন তিনি।

এক মাসের মধ্যে কার্ড প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেও ৭/৮ মাসেও কার্ড পাননি উল্লেখ করে হুনুফা অভিযোগে জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি চেয়ারম্যানের বাসভবনে গিয়ে বিধবা ভাতার কার্ড চান। কার্ড দিতে আরো দেরি হবে জানালে হুনুফা চেয়ারম্যানের কাছে ঘুষ হিসেবে দেওয়া সেই পাঁচ হাজার টাকা ফেরত চান।

এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী বিধবা হুনুফাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে দেন। এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা করান বলে জানান এই বিধবা।

এ ঘটনা ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রাঙামাটিয়া গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে মাইকিং করে মঙ্গলবার বিকালে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। তবে সেই কর্মসূচি পালিত হয়নি বলেও জানা গেছে।

তবে নির্যাতন ও ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করলেও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম স্বীকার করেন, বিধবা হুনুফা কার্ডের জন্য তার জয়রামপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

“নির্যাতন বা টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক না।”

হুনুফার বিধবা ভাতার কার্ড প্রক্রিয়াধীন আছে জানিয়ে চেয়ারম্যান রফিকুল বলেন, তার ইউনিয়নে ৪৯ জনকে বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়া হয়েছে। গত ৩ অগাস্ট কার্ড বিতরণ শেষ হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Exit mobile version