Site icon অবিশ্বাস

জামালপুর রংপুর ও নাটোরে প্রতিমা ভাংচুর, মন্দিরে হামলা

বকসীগঞ্জ উপজেলার সারমারা বাজার সংলগ্ন দাসপাড়ায় দুর্গা প্রতিমা গুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সেই সঙ্গে ভেঙ্গে চুরমার করেছে কালীমন্দির ও কালী প্রতিমা। দুর্গাপ্রতিমা ও কালীমন্দির ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে সোমবার রাত দেড়টায়। এ সময় একদল দুষ্কৃতকারী জেলে সম্প্রদায় অধ্যুষিত দাসপাড়ায় ঢোকে এবং হামলা তাণ্ডব চালিয়ে দুর্গা প্রতিমাসহ দুর্গাপূজা উদ্যাপনের জন্য নির্মিত মণ্ডপ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। সংখ্যালঘু জেলে সম্প্রদায়ের লোকজনের চোখের সামনেই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারা তাণ্ডব দেখেও বাধা দেয়ার সাহস পায়নি। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দাসপাড়ার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। দেওয়ানগঞ্জ পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বেশকিছু পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে হামলা ভাঙচুরের জন্য দায়ী কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় জামালপুর শহরে পৌরসভা হরিজন কলোনিতে দুস্কৃতকারীদের হামলায় হরিজন সম্প্রদায়ের মনোহর নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা মনোহরকে রামদা দিয়ে কুপিয়েছে। রংপুর জেলা থেকে বার্তা পরিবেশক ঃ সোমবার গভীর রাতে কাউনিয়া উপজেলা সদরের গোপালগঞ্জে একদল সন্ত্রাসী মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর এবং মন্দিরের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার জানিয়েছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের এ মন্দিরটি ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেও মালামালতছনছ করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মন্দিরে অবস্থানরত লোকদের এ ব্যপারে উচ্চবাচ্য না করার হুমকি প্রদান করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। নাটোর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ নাটোরে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। গত সোমবার দিনগত রাতে কে বা কারা মাধবনগর সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। মন্দির কমিটির সভাপতি নিবারণ চন্দ্র প্রামাণিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

সংবাদ, ১৭ অক্টোবর ২০০১

Exit mobile version