জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার বাগুয়ান এলাকার ছোট যমুনা নদী তীরে ১৬ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন বলে পাঁচবিবি থানার ওসি মনসুর রহমান জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন একই উপজেলার কেশবপুর গ্রামের সাইফুলের ছেলে মেহেরুল ইসলাম ও ভোজন চন্দ্র বর্মনের ছেলে গোপাল চন্দ্র বর্মন।
ওই তরুণীর বাড়ি ফরিদুপরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর আজমপুর গ্রামে। তিনি একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলার বরাতে ওসি বলেন, প্রায় এক বছর আগে পরিবহন শ্রমিক মেহেরুলের সঙ্গে ঢাকায় মেয়েটির পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠ এবং বিয়ে হয়।
এরপর মেহেরুল মেয়েটিকে ঢাকায় রেখে বাড়িতে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে মেহেরুলকে চাপ দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে মেহেরুল ওই তরুণীকে ‘একা’ পাঁচবিবিতে যেতে বলেন।
“পরে মেয়েটি পাঁচবিবি গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মেহেরুল তাকে বাড়ি নেওয়ার কথা বলে বাগুয়ান এলাকার নদীর তীরে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে মেহেরুলসহ তিনজন পালাক্রমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।”
এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে তিনজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে গোপাল ও মেহেরুলকে গ্রেপ্তার করে বলে জানায় ওসি।