কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. সাকের (২২) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। ১৭ মে রোববার ভোরে উপজেলার নয়াপাড়া লবণের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাকের উখিয়ার বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসিন্দা খাইরুল আমিনের ছেলে। বিজিবির দাবি, নিহত সাকের রোহিঙ্গা মাদককারবারি। মাদকের চালান নিয়ে অনুপ্রবেশের সময় গুলিবিনিময়ে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, মাদকের চালান আসার গোপন সংবাদ পেয়ে রোববার ভোরে নয়াপাড়া লবণের মাঠে অবস্থান নেন বিজিবি সদস্যরা। কিছুক্ষণ পর ওই পয়েন্ট দিয়ে ৪-৫ জন লোককে নাফ নদ পার হয়ে আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে বিজিবি সদস্যরা। এসব মাদককারবারি চক্রের সদস্যরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় দুই পক্ষের ৪-৫ মিনিট গুলিবিনিময় হয়। তিনি আরও জানান,পরে মাদককারবারি চক্রের সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুই লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ধারালো কিরিচ, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও গুলিবিদ্ধ সাকেরকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা। এ ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হন।