Site icon অবিশ্বাস

ঠাকুরগাঁওয়ে ‘তরুণীকে ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ১

‘প্রতারণা করে’ ঠাকুরগাঁওয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে চাকরিচ্যুত এক গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

১৪ জুলাই বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনালের একটি কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার বাদল মিয়া (৩৭) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার হাটসিরা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, বাদল মিয়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে ড্রাইভার পদে চাকরি করত। সে সুবাদে বাদীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাদল ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে কৌশলে ছবি ও ভিডিও ধরণ করেন।

তিনি বলেন, বিয়ের জন্য চাপ দিলে সেইসব ভিডিও, ছবি ও কথোপকথন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বাদল।

এছাড়া হুমকি দিয়ে তরুণীর কাছ থেকে ৬টি ফাঁকা চেকের পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন এবং একটি মোবাইল ব্যাংকিংএর অ্যাকাউন্ট সম্বলিত সিম কার্ড নেন বাদল।

গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে স্বাক্ষরকৃত ফাঁকা ৭টি চেকের পাতা, ২টি ফায়ার সার্ভিসের ড্রেস, ৩টা মোবাইল ফোন, ১টা ডায়েরি, ৩টা চেকবই এবং ২টা পেনড্রাইভ উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা করেন সেই নারী।

ওসি আরও বলেন, বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীর বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করত বাদল মিয়া।

চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি হতে বাধ্যতামুলক অবসর প্রদান করা হয়েছিল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Exit mobile version