ঠাকুরগাঁওয়ে নার্সকে ধর্ষণ মামলার আসামি ক্লিনিকের মালিক সাইফুলকে পঞ্চগড়ে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ। ১৯ জুন শনিবার ভোরে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলায় আসামির নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মামলার অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন। তবে সাইফুল মামলায় জামিন না নেওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর কয়েকদিন আগে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি করে জেলা শহরে একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও জেলার একজন নারী নার্সিংয়ের ওপড় ডিপ্লোমা শেষ করে প্রায় তিন বছর আগে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলার নিউ পপুলার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে নার্সের চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরি শুরু করতে না করতেই ওই ক্লিনিকের মালিক সাইফুল ইসলাম বিয়ের তথ্য গোপন করে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। বারবার প্রত্যাখান করলেও পরবর্তীতে কৌশলে ক্লিনিকের একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক নারীকে ধর্ষক করেন সাইফুল। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর যাবৎ মেলামেশা করেন। গত ৩১ মে বিয়ের আলোচনার কথা বলে ঠাকুরগাঁও শহরের টিকাপাড়াস্থ তার ভায়রা আলমগীরকে দিয়ে সন্ধ্যায় নারীকে ডেকে নেন। সেখানেও সাইফুল একটি কক্ষে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকেকে ধর্ষণ করেন এবং দুইলাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি বারাবারি করতে নিষেধ করেন। তা মানতে অস্বীকার করলে সাইফুল, তার ভায়রা আলমগীরসহ পরিবারের লোকজন বেধরক পারপিট করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ওই নারী বাদী হয়ে সাইফুলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভীর হাসান জানান, আসামি সাইফুলকে ভোর রাতে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।