Site icon অবিশ্বাস

ঢাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

 

১০ আগস্ট সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের কাছে মামলা দায়েরের আবেদন করেন কোতোয়ালি থানা এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী মো. সোহেল।

বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে অভিযোগটি সরাসরি আমলে না নিয়ে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এএসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে আদেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র সরকার, খালেদ শেখ ও মো. শাহিনুর, কনস্টেবল মিজান এবং পুলিশের সোর্স মোতালেব।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ২ অগাস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতোয়ালি থানার ওয়াইজঘাট এলাকা দিয়ে মেয়ের বাসার দিকে যাচ্ছিলেন মো. সোহেল। পথে পুলিশ তাকে ঘেরাও করে। তল্লাশি করে তার পকেটে থাকা ২ হাজার ৯০০ টাকা নেয় পুলিশ। তল্লাশি শেষে পুলিশ তাকে চলে যেতে বলে।

“তখন সোহেল সেই টাকা ফেরত চান। তখন তাকে মারধর করা হয়। সেখানে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। লোকজন এসে জানতে চান, কী হয়েছে? তখন আসামিরা বলে, তার পকেটে দুই প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে ফাঁসাতে চান। তখন সোহেল তাদের কাছে কাগজ দেখতে চান।

“পরে আসামিরা তাকে থানায় নিয়ে যায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে আসামিরা তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না হলে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

“জেএমবির সদস্য বলে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এ সময় ওসি তাদের টাকার ব্যবস্থা করতে বলেন। সোহেলের পরিবারের সদস্যরা রাতেই আসামিদের দুই লাখ টাকা দেন। পরদিন সকালে আরও এক লাখ টাকা দেন।

“টাকা দেওয়ার পর সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে তিনি মাদক সেবন এবং শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করছিলেন। তার বিরুদ্ধে নন-এফআইআর করে পুলিশ। আবার আসামিরাই তাকে জামিন করিয়ে আনেন।”

জামিন পাওয়ার পর সোহেল আদালতে এসে এই অভিযোগ দাখিল করেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Exit mobile version