Site icon অবিশ্বাস

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে দ্বিতীয় শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বড় আব্বার ধর্ষণের শিকার দ্বিতীয় শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রী। ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এই ঘটনায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ০৩) ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিমের পিতা।

 

অভিযুক্ত ধর্ষক মহসিন আলীকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মহসিন উপজেলার দল্লা নোনামাটি গ্রামের মৃত ফরিমুল্লাহর ছেলে।

এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে ১২ ডিসেম্বর শনিবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ পায়। শনিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চিরিরবন্দর থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় পাশের বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীর বাবার চাচাতো ভাই সম্পর্কে ‘বড় আব্বা’ মহসিন আলী (৪৪) তাকে (ছাত্রী) ডেকে গুল নিয়ে আসতে বলে। এ সময় কৌশলে নিজ বাড়ির ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের পর হুমকি দিয়ে বলে যে কাউকে বিষয়টি জানালে মেরে ফেলবে। ওই ছাত্রী কাউকে কিছু না বললেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে এবং অবস্থার অবনতি হলে বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরে ওই ছাত্রীটিকে প্রথমে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় ছাত্রীটিকে দিনাজপুরের এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক মহসীন আলীকে গ্রেপ্তার করে।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর এবং অভিযাগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

কালের কণ্ঠ

Exit mobile version