দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় দিন-দুপুরে এক নারীকে (৩৫) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ওমর ফারুক (২৫) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
আটক ওমর ফারুক বীরগঞ্জ উপজেলার ৪নং নিজপাড়া ইউনিয়নের গন্ডারঝাড় গ্রামের মো. কফিল উদ্দিনের ছেলে। রোববার বেলা ১১টার দিকে নিজপাড়া ইউনিয়নের গন্ডারঝাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত নারীর বাবা জানান, তার মেয়ে দিনমজুর হিসেবে প্রতিবেশী ইউসুফ আলীর বাগানে কাজে করেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে কাজে রওনা দেন। সকালে বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা ছিল ফাঁকা। বাড়ি থেকে কিছুদূর যেতেই রাস্তায় একা পেয়ে মেয়েকে তুলে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে ওমর ফারুক। গুরুতর অবস্থায় মেয়েকে ভুট্টাক্ষেতে রেখেই পালিয়ে যায় ফারুক। একই গ্রামের ভ্যানচালক মো. আমিনুল ইসলাম মেয়েকে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় ভুট্টাক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখতে পান। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত নারী বলেন, রোববার কাজে যাওয়ার সময় আকাশ ছিল মেঘলা, রাস্তা ছিল ফাঁকা। বাড়ি থেকে কিছুদূর যেতেই ওমর ফারুক আমার গতিরোধ করে কুপ্রস্তাব দেয়। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে রাস্তা থেকে তুলে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে ওমর ফারুক। চিৎকার করায় আমাকে পিটিয়ে আহত করে মুখে কাপড় বেঁধে দেয়। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সমরেশ দাশ বলেন, নির্যাতিত নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ