দিনাজপুরে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী চিবুকাদেবী মন্দিরের কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
১ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাত ৩টার দিকে শ্রী চীবুকাদেবী মন্দিরে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মন্দিরের কালী প্রতিমার মুখমণ্ডলে, শিবের গলায় আঘাত করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। একইসঙ্গে মনসা প্রতিমা কয়েকটি অংশে ভেঙে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী ও মন্দির কমিটির লোকজন। বিষয় জানাজানি হওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ। বিষয়টির লিখিত অভিযোগ দায়েরের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
মন্দির কমিটির সহ-সম্পাদক তপন বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনাটি আমি আজ (সোমবার) বেলা ১১টার দিকে মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবায়েতের মাধ্যমে জানতে পারি। ঘটনাটির উৎস সম্পর্কে আমাদের তেমন কোনও ধারণা নেই। যা হয়েছে সব রাতের আঁধারে। তবে আমাদের ধারণা এটি দুর্বৃত্তদের পরিকল্পিত হামলা। এই মন্দিরের সেবায়েত যিনি আছেন তিনিও সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। তিনি সকালে উঠে এসব দেখেছেন।’
তিনি বলেন, এ ঘটনা ঘটার পরে কমিটির কোষাধক্ষ্য তাপস চন্দ্রের সাহায্যে সব সদস্যেদেকে বিষয়টি অবগত করি। সবাই ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে থানায় বিষয়টি জানালে চিরিবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। মন্দির সেবায়েত শিবকর্মা জানান, এ ঘটনা রাতের বেলা হয়েছে। এ ঘটনা আমি দেখতে পাইনি। যা হয়েছে তা রাতের আঁধারে। ভগবান এর বিচার নিশ্চই করবেন। কতদিন আর অন্যায় করে বেঁচে থাকবে তারা। ওপরে ভগবান আছেন।
মন্দির কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক প্রফুল্ল সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে আনুমানিক রাতের শেষার্ধে। সকালে বিষয়টি জানতে পেরে আমি এসে দেখি এখানে তিনটি মন্দিরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে প্রতিমার মুখের অংশগুলো ভেঙে দিয়েছে এবং মনসা প্রতিমাটি ভেঙে নদীতে ফেলে দিয়েছে।’
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনা জানার পর দুপুরে ঘটনাস্থলে ২ জন পুলিশ কর্মকর্তা সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনোক্রমেই এসব ঘটনার আসামিদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যেই পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।