Site icon অবিশ্বাস

দিরাইয়ে মাদানী-মামুনুল হকের সমালোচনা, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে শিক্ষককে হয়রানি

হেফাজত নেতা মামুনুল হক ও শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নিয়ে সমালোচনা করায় দিরাইয়ে তোপের মুখে পড়েছেন এক স্কুলশিক্ষক। শালিস বসিয়ে হেফাজত নেতাকর্মীরা তার চাকুরিচ্যুতির দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করায় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।

 

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৪ এপ্রিল রবিবার সকালে দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে একটি হোটেলে নাস্তা করছিলেন রফিনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসবি গোলাম মোস্তফা। তিনি কথা প্রসঙ্গে মাওলানা মামুনুল হক ও রফিকুল হক মাদানী ধর্মের অপব্যাখ্যা করে ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন বলে পরিচিতজনদের সতর্ক করেন। এ সময় স্থানীয় এক হেফাজত নেতা তার বক্তব্য শুনে উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমানার অভিযোগ আনেন। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে বাজারে বিক্ষোভ করেন মামুনুল হকের অনুসারীরা। তারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন বাজারে।

খবর পেয়ে দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন, ওসি আশরাফুল ইসলাম, রফিনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজোয়ান হোসেন খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জরুরি সভায় বসেন। সভায় হেফাজতের স্থানীয় অনুসারীরাও যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং প্রধান শিক্ষক এসবি জয়নাল আবেদিনকে চাকুরিচ্যুতির আহ্বান জানান। এক পর্যায়ে তাদের অনড় অবস্থানের কারণে ও প্রশাসনের অনুরোধে প্রধান শিক্ষক ক্ষমা চান। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলেও হেফাজত অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে প্রধান শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে।

ইউপি চেয়ারম্যান রেজোয়ান হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক কি বলেছেন আমরা কেউ শুনিনি। হেফাজতের স্থানীয় একজন হুজুর বিষয়টি শুনে অন্যান্যদেরও অবগত করেন। এতে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা ওই শিক্ষকের চাকুরিচ্যুতিরও দাবি জানান। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করে নিবৃত করি। পরে প্রধান শিক্ষক তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

দিরাই থানার ওসি মো. আশরাফুল আলম বলেন, খবরটি শোনার পরই আমার ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। তবে কিছু লোক প্রধান শিক্ষকের চাকুরিচ্যুতি ও বিচার দাবি করেছিল। আমরা বুঝিয়ে সুঝিয়ে বিষয়টি শেষ করে দিয়ে এসেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

কালের কণ্ঠ

Exit mobile version