ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলামসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। বুধবার (৪ মার্চ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সামদারের আদালতে তিনি এ মামলাটি করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মো. সোহেল, মো. মিরাজ আলী, মো. জিহাদ এবং ওসমান আলী (এসআই)।
বাদীর আইনজীবী জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় আসামি সোহেল ও মিরাজ বাদীর স্বামীকে খুঁজতে বাদীর বাসায় আসে। এরপর তারা স্বামীকে না পেয়ে বাদীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় বাদী আত্মরক্ষার জন্য চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন আসেন। এরপর আসামিরা বাসা থেকে চলে যায়। যাওয়ার সময় সিঁড়িতে বাদীর স্বামীকে দেখামাত্র আসামি সোহেল, মিরাজ ও জিহাদ তার স্বামীকে মারধর এবং অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বাদী এবং তার সন্তানদের বাসায় আটক করে রাখেন।’
তিনি বলেন, ‘পরেরদিন সকালে আসামিরা বাদীকে বলে, তার স্বামী অজ্ঞাত স্থানে আছে। সেখান থেকে যেন তার স্বামীকে নিয়ে আসে। আসামিদের কথা অনুযায়ী, অজ্ঞাত স্থান থেকে তার স্বামীকে নিয়ে আসেন বাদী। এরপর এসে দেখে বাদীর সন্তানদেরও আটক করে রাখেন আসামিরা। পরবর্তীতে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ এসে বাদীর সন্তানদের উদ্ধার করে। তবে আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি ও এসআই মামলা না নিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তাদের কথা অনুযায়ী ৫ হাজার দেন বাদী। এরপর বাদীকে বলেন, বাকি ৯৫ হাজার টাকা দিলে মামলা নেয়া হবে। পরবর্তীতে বাদী আর টাকা দিতে পারবে না বলে জানায়। এরপর বাদীর মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানা আর নেয়নি।’