Site icon অবিশ্বাস

ধানমন্ডিতে গলাটিপে ছাত্রকে ধর্ষণ চেষ্টা, মাদ্রাসাশিক্ষক চাকরিচ্যুত

গলা টিপে এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, যৌন নির্যাতনও করা হয়েছে শিশুটিকে। এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শিক্ষক।

 

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) তার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী। রাজধানীর ধানমণ্ডির উম্মুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জানান, নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্ত করা হয়েছে ওই শিক্ষককে।

১২ বছর বয়সী ছেলে সন্তানকে নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় বাবার নেতৃত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর ধানমন্ডির উম্মুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে হওয়া এ মানবন্ধনে অংশ নেন এলাকাবাসীও।

পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসাটির শিক্ষক আব্দুর রহমান বশির শিশুটির গলা চেপে ধরে মারধর করেন এবং ধর্ষণ চেষ্টা করেন। এরপর থেকেই কথা বলতে পারছে না শিশুটি। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন তারা।

শিশুটির বাবার দাবি, থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি তারা।

শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমরা দুই দিন পর আবার মামলা করতে গেলাম, কিন্তু তারা বলছে ঢাকা মেডিকেলের যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে সেই কাগজ নেই, আপনার মামলা থাকবে না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই, আমার ছেলের সুষ্ঠু চিকিৎসা চাই, যাতে আমার ছেলে আবার সুন্দরভাবে কথা বলতে পারে।’

এদিকে, মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে বলাৎকারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।

উম্মুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বলেন, ‘শিশুটিকে শিক্ষক মারছে, এটা আমরা শুনছি। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। থানায়ও মামলা হয়েছে। মামলা বিচারাধীন আছে এবং তদন্ত চলতেছে।’

ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। হাজারিবাগ থানা পুলিশ বলছে, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মাদ্রাসাটি।

সময় নিউজ টিভি

Exit mobile version