Site icon অবিশ্বাস

নওগাঁর মান্দায় জমি রেজিস্ট্রিতে অতিরিক্ত ফি নেয়ার প্রতিবাদ, সাংবাদিকের ওপর হামলা

নওগাঁর মান্দায় জমি রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদ করায় প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলীর ওপর হামলা ও মারপিট করে টাকা ছিনতাই করেছে। ৮ জুন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রসাদপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ভেতরে এ হামলার ঘটনায় ঘটে।

 

বর্তমানে আব্বাস আলী আহত অবস্থায় মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা গেছে, মান্দা উপজেলার ভারশোঁ গ্রামের আসাদ আলী জমি রেজিস্ট্রি করতে প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতিতে আসে সাংবাদিক আব্বাস আলীর বড় ভাই আসাদ আলী। তিনি সমিতির এক দলিল লেখকের সঙ্গে আলোচনা করে একটি দলিল ১২ লাখ টাকা মূল্যে করতে চান। যেখানে ১০ দশমিক ৫ টাকা হারে ১২ লাখ টাকার দলিলে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়।

বিষয়টি আসাদ আলী তার ছোট ভাই সাংবাদিক আব্বাস আলীকে জানায়। এরপর আব্বাস দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তারের সঙ্গে মোবাইলে ফানে কিছু টাকা কম খরচে করার অনুরোধ জানায়।

এরপর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আব্বাস আলী দলিল লেখক সমিতিতে সশরীরে গিয়ে সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তারের সঙ্গে দেখা করে আবারও কিছুটা কম করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু বাবুল আক্তার তেমন গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়।

এক পর্যায়ে সমিতি থেকে তাকে জোর পূর্বক বের করে দেয়। পরে বেলা ১১টার দিকে আব্বাস প্রসাদপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সাব-রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করতে গলে অফিসের ভেতর থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন রানার নেতৃত্বে ১০-১২ জন কিল ঘুষি মারতে শুরু করে। পরে কয়েকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

আহত আব্বাস আলীর বড় ভাই আসাদ আলী বলেন, জমির রেজিস্ট্রি করতে অতিরিক্ত ফি চাওয়ার প্রতিবাদ করায় আমার সামনে ১০-১২ জন দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা ঘিরে রেখে সংঘবদ্ধভাবে ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা ও মারপিট করে। আমি বাঁধা দিতে গেলে আমাকেও চড়-থাপ্পড় মারে। আমি জড়িতদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

মান্দা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন আমি অফিসে ছিলাম না। বিষয়টি জানার পর আমি উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেছি। তারা কেউ বসতে রাজি হয়নি। তবে আমি বিষয়টি তদন্ত করছি।

মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যুগান্তর

Exit mobile version