Site icon অবিশ্বাস

নওগাঁয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিবন্ধী কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ

নওগাঁয় দরিদ্র এক প্রতিবন্ধী কিশোরকে (১২) বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে মমতাজ উদ্দিন (৬২) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা বলে সময়ক্ষেপন করছে।

গত ২১ এপ্রিল স্থানীয় কীর্ত্তিপূর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের কাছে বিচারের দাবিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই কিশোরের দাদী। ওই প্রতিবন্ধী কিশোর সদর উপজেলার শালুকা (হিন্দুপাড়া) গ্রামের দরিদ্র জনৈক ব্যক্তির ছেলে। অভিযুক্ত মমতাজ উদ্দিনও একই গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ এপ্রিল ওই প্রতিবন্ধী কিশোরকে চকোলেট খাওয়ার প্রলোভন দিয়ে মমতাজ উদ্দিন তার বাড়ির পাশে কলার বাগানের সঙ্গে থাকা একটি ডোবার ধারে নিয়ে যায়। এরপর বলাৎকার করার সময় ওই কিশোরের চিৎকারে স্থানীয় মুকলেছুর রহমান মমতাজ উদ্দিনকে আটক করেন।

অভিযোগকারী ওই বৃদ্ধা জানান, তাদের জমিজমা নেই। গরীব মানুষ। খেটে খেয়ে কোনমতে তাদের সংসার চলে। ওই প্রতিবন্ধীর মা তিন/চার বছর বয়সে তাকে ফেলে অন্যত্র চলে যায়। এরপর থেকে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কুঁড়ে ঘরে থাকেন। তিনিই দেখাশুনা করেন। তাকেই বলাৎকার ঘটনায় টাকা পয়সা না থাকায় থানায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন বিচার পাচ্ছেন না।

অভিযুক্ত মমজাত উদ্দিনকে না পাওয়া গেলেও তার ছেলে মো. বাবু জানান, তার বাবার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। অপর প্রশ্নে বাবু বলেন, ছাত্র জীবনে ওই ঘটনাগুলো ঘটেছে। তবে এখন আর কোন ঘটনা নেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম জানান, মমজাত উদ্দিনের ছেলেদের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে করে ঘর-সংসার ভাঙ্গার প্রমাণ রয়েছে। আবার সম্প্রতি মমজাত উদ্দিন এক প্রতিবন্ধী কিশোরকে বলাৎকার করেছে। দ্রুত তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি।

স্থানীয় কীর্ত্তিপূর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মমজাত উদ্দিনের পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলার সঙ্গে অসামাজিক সম্পর্কে করে ঘর-সংসার ভাঙ্গার প্রমাণ রয়েছে

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই জানান, ‘থানায় অভিযোগ দিতে টাকা লাগে না। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ইত্তেফাক

 

Exit mobile version