Site icon অবিশ্বাস

নরসিংদীতে শিমু আক্তার নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

নরসিংদীতে শিমু আক্তার (১৪)- নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শহরের উত্তর সাটিরপাড়াস্থ সিরাজুল উলুম মাদ্রাসায় শনিবার বেলা আড়াইটায় এ ঘটনা ঘটে।

মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ আব্দুর রহিম জানান, বিশ্ব ইজতেমা থেকে মাদ্রাসায় এসে জানতে পারি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী শিমু আক্তার (১৪) বাথরুমে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মাদ্রাসার শিক্ষিকা মানসুরা বেগম ও ছাত্রী সানজিদা তাকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করে। পরে মাদ্রাসার শিক্ষক আনোয়ার হোসেন তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

তিনি আরো জানান, শিমু তার সহকর্মী সানজিদার সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। মৃত্যুর পূর্বে সে একটি চিরকুট লিখে গেছেন। তাতে লেখা রয়েছে, ‘সানজিদা তোরা আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়ায় আমি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’

অপরদিকে নিহত শিমুর বড় বোন একই মাদ্রাসার মাস্টার্সের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার এবং ছোট বোন পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী বুশরা (১২)- জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ শিমুর বান্ধবী একই মাদ্রাসার ছাত্রী সানজিদা ও সাদিয়া তার বোন শিমুকে ভিন্নপথে চলার জন্য প্ররোচনা দিত। বিষয়টি তার বড় বোন সুমাইয়াকে জানানোর পর সে তাদের সাথে চলাফেরা করতে নিষেধ করেন। এটাই কাল হয়ে দাড়ায় শিমুর জন্য। শিমু এবং সানজিদা ও সাদিয়ার সাথে চলতে থাকে বিরোধ, মান-অভিমান।

তাদের দাবি, ঘটনার দিন দুপুরে সানজিদা ও সাদিয়া তার বোন শিমুকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে বাথরুমে গামছা বেধে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আব্দুর রহিম ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং মোতায়াল্লী আঃ আউয়াল ভূইয়া এমন দাবি করলে তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন এলাকাবাসীরা। তাদের দাবি যে বাথরুমে শিমু আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারনা চালানো হচ্ছে মূলতঃ আত্মহত্যা করার মতো কোন জায়গা ওই বাথরুমটিতে নেই। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ও.সি সৈয়দুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী শিমুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনকণ্ঠ

Exit mobile version