নরসিংদীর রায়পুরায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণের দায়ে এক কিশোরকে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করেছে। ২৫ মার্চ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের জহিরবাগ এলাকার চাঁনমিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার রায়পুরা থানার পুলিশ ওই শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা গতরাতে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
আটককৃত কিশোর উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের মো. মহর আলীর ছেলে। শিশুটি সম্পর্কে তার ভাগ্নি হয় বলে জানান তার স্বজনরা।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি উপজেলার দক্ষিণ মির্জানগর গ্রামে মো. গোলজার মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় মধ্যপাড়া আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এই সময় স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুটি তার নানা বাড়ি বটতলীতে অবস্থান করছিল। বুধবার সকালে শিশুটি তার নানির সঙ্গে বাড়ির পাশের মরিচ ক্ষেতে যায়। তখন প্রচণ্ড রোদ থাকায় শিশুটির নানি তাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। শিশুটি তখন ক্ষেতের আইল ধরে একা বাড়ি ফেরার পথে ডানিয়েল কৌশলে তাকে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষক করে। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা ওই কিশোরের মাথা ন্যাড়া ও গলায় জুতার মালা পরিয়ে সারা গ্রাম ঘুরায় এবং মারপিট দিয়ে পুলিশে হাতে তোলে দেয়। এ ঘটনায় পর গতকাল রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানা সেকেন্ড অফিসার দেব দুলাল বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষককে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।