Site icon অবিশ্বাস

নাটোরের বড়াইগ্রামে বিয়ের কথা বলে দুই বছর ধরে ধর্ষণ, মামলা নেয়নি পুলিশ

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বিয়ের কথা বলে দুই বছর ধরে এক ব্যবসায়ী ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে এক নারী অভিযোগ করেছেন। বিয়ের দাবিতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে গেলে ওই নারীর গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়। এ ঘটনায় ওই নারী বড়াইগ্রাম থানায় ১৯ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ করার পরও এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ।

 

অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর নাম জামাল হোসেন (৩৮)। তিনি একজন সার ব্যবসায়ী।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিয়ের কথা বলে ওই গৃহবধূর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন জামাল হোসেন। সেই সম্পর্কের জেরে দুই বছরে ধরে তাঁকে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে জামাল হোসেন বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিতে ওই নারীকে ঢাকায় নিয়ে যান এবং তাঁর স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। পরে ঢাকার জুরাইন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে তাঁরা একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। সেখানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর মতো থেকেছেন। ওই নারী বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলেও জামাল বিয়ে করেননি। এরপর বিয়ে নিবন্ধন করার কথা বলে ১৮ এপ্রিল ওই নারীকে বড়াইগ্রামের বাড়িতে ডেকে আনেন জামাল। এ সময় জামাল ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারপিট করেন। একপর্যায়ে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। পরে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এক ভ্যানচালক।

এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী। তবে থানা-পুলিশ আজ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি।

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগকারীকে ধর্ষণের প্রমাণ উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। সত্যতা পেলে মামলা নেওয়া হবে।

নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনার সব সময় প্রত্যক্ষ সাক্ষী পাওয়া যায় না। তবে ধর্ষণ মামলায় অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা করানো এখন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এভাবেও অভিযোগ যাচাই করা যেতে পারে।

প্রথম আলো

Exit mobile version