Site icon অবিশ্বাস

নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের নির্যাতন শিক্ষকের, উদ্ধার করলেন ইউএনও

নাটোরের বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর মহিউস সুন্নাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকের বেধড়ক মারপিটের শিকার হয়েছে বেশ কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী। রোববার রাতে খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন ইউএনও।

 

অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই শিক্ষক এনামুল ইসলামকে তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত এবং করোনাকালে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাদ্রাসা ছুটি দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। শিক্ষক এনামুল ইসলাম নাটোর সদরের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা পড়া না পারার কারণে শিক্ষক এনামুল ইসলাম বেতের লাঠি দিয়ে প্রায়ই বেধড়ক মারধর করেন। রোববারও একই কারণে শিক্ষার্থীদের বেশ মারপিট করেন তিনি।

শিক্ষক এনামুল ইসলামের অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে রোববার সন্ধ্যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী ফোন করে কান্না জড়িত কণ্ঠে নির্যাতনের বিষয়টি ইউএনওকে জানায়। পরে তিনি তাৎক্ষণিক মাদরাসায় ছুটে যান।

অভিযুক্ত শিক্ষক এনামুল হক বিষয়টির স্বীকার করে বলেন, বারবার বুঝানোর পরও তারা পড়া রেডি করতে না পারায় রাগান্বিত হয়ে তাদের বেত দিয়ে মেরেছি। তবে এটি আমার ভুল হয়েছে, পরবর্তীতে আর এমনটি হবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনাকালে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকার বন্ধ ঘোষণা করলেও এই প্রতিষ্ঠানটি গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। সেজন্য মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র এতিম শিশুরা মাদ্রাসায় থাকবে।

যুগান্তর

Exit mobile version