নাটোরের লালপুর উপজেলার দুয়ারীয়া ইউনিয়নের হাঁপানিয়া এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় আসামি চা ও মুদি দোকানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে আটা কিনতে গেলে সহযোগী আরও দুই জনসহ ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা ও মামলার আইও মেসবাউল হক।
ওসি সেলিম রেজা ও মামলার আইও মেসবাউল হক জানান, সোমবার রাতে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে আসামিকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেশী নারী জানান, আসামি জামাত আলী অনেক আগে থেকেই এলাকার বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতো। জামাত আলী তার চা দোকানের পাশে আর এক দোকান ভাড়া নিয়ে মুদি ব্যাবসা করে। সোমবার আটা কেনার জন্য ওই শিশু প্রতিবেশী আরও দুই শিশুকে নিয়ে দোকানে যায়। এসময় জামাত আলী তিন শিশুকেই বিস্কুট খেতে দিয়ে মুদি দোকানের ভেতর বসতে বলে। এরপর দোকানের শাটার নামিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় কৌশলে অপর এক শিশু দোকান থেকে বের হয়ে চিৎকার দিলে, আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার ও জামাত আলীকে আটক করে। এসময় তারা জামাত আলীকে গণধোলাই দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
খবর পেয়ে পুলিশ জামাতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।