নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার অপরাধে নোয়াখালীর ৬টি উপজেলায় নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষ, ভাংচুর, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে লুটপাট কালে ২৫ জন আহত হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরের রংমালা ভাংচুর, কালী মন্দির ও জগন্নাথ মন্দির ভাংচুর করে বিগ্রহ নিয়ে যায়। বিরাহিমপুর ননী মেম্বারের বাড়িতে হামলা করে দুই জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। চড় কাকড়ায় রাজেন্দ্রর বাড়িতে মানিক ও খগেন্দ্রর ঘর লুট করে সন্ত্রাসীরা ভাংচুর করে। চর পার্বতীর মাধব সরকারের বাড়ির ডাঃ স্বপনের ঘরে ঢুকে লুট করে। ললিত মাষ্টারের বাড়ির সুবোধ, বাদলসহ ৫ জনকে গুরুতর জখম করে। এলাকার মেম্বার ননী মজুমদার ও দিলিপ মজুমদারকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তারা ভয়ে অজ্ঞাত স্থানে রয়েছে। সন্ত্রাসীরা নারায়ণ, কল্যান, কৃষ্ণকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। মুছাপুরে বিপিন পণ্ডিতের বাড়িতে কালী মন্দির ও নাটমন্দির ভাংচুর করে মারধর করে। মুছাপুরের সুর বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুর করে, ভূতের বাড়ির পোপনকে মারধর করে। ডাঃ গোরাচাঁদের বাড়ির লোকজনকে মারধর করে। বিশ্বজিত, রাজ বিহারীকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতে গিয়ে ৫/১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সদরে দাদপুরে নূপুর করের বাড়িতে ঢুকে দখল করে। এভাবে জোট সমর্থকরা বৃহত্তর নোয়াখালীর ১৩টি নির্বাচনী আসনে হিন্দু বাড়িতে ঢুকে নৌকায় ভোট দিয়েছে বলে দায়ী করে চাঁদা দাবি, লুট, মারধর, নির্যাতন চালাচ্ছে। পথে-ঘাটে, বাড়িতে ঢুকে নির্মমভাবে প্রহার করছে। সেনবাগের নবীপুর, নলশুরসহ সর্বত্র হিন্দু বাড়িতে ঢুকে হুমকি দিচ্ছে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদ নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট চিত্তবাবু, সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু ভূষণ পাল (পরান বাবু) অবিলম্বে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে আইনগত ব্যবস্থার আবেদন করেন।
আজকের কাগজ, ১১ অক্টোবর ২০০১